জমজমাট ডেস্ক

টালিউড এর জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এবার দুর্নীতির মামলায় ইডি ডেকে পাঠিয়েছেন তাকে। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই চলছে হইচই, যদিও অভিনেত্রী এখনও এই নিয়ে কথা বলেনি।

অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এর আগেও তার ডাক পড়েছিল ইডি-তে। তবে তা, ২০১৯ সালে অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আর্থিক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

বৃহস্পতিবার সামনে এলো নতুন খবর, ৫ জুন তাকে ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে রেশন দুর্নীতি মামলায়। ইডির হাতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান-সহ, কয়েক জন নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এবার হঠাৎ ঋতুপর্ণার নাম আসা নিসন্দেহেই বড় চমক। যদিও অভিনেত্রী এসব বিষয়ে কোন কথা বলেন নি।

তিনি ৫ জুন ইডি অফিসে হাজিরা দেবেন কি না, তাও স্পষ্ট নয়। কারণ ‘অযোগ্য’-র মুক্তি নিয়ে বড়ই ব্যস্ত তিনি। ২০১৯ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে শুধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত নন, ডাক পড়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়েরও। রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু একসময় বেশ কিছু বাংলা ছবির প্রযোজনা করেছিলেন।

তাতে অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা, প্রসেনজিৎ-সহ একাধিক শিল্পী। আর সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের খোঁজ নিতেই তিনি গিয়েছিলেন ইডি অফিসে। এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রীর সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল রোজভ্যালি গোষ্ঠীর।

সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির কর্মকতা। রেশন দুর্নীতি মামলার সঙ্গে ঋতুপর্ণা কীভাবে যুক্ত, তা স্পষ্ট জানা যায়নি। অভিনেত্রীর কাছে ইডি-র নোটিস আসার খবর মিলতেই রীতিমতো শোরগোল জনগণের মধ্যে। ঋতুপর্ণা আর প্রসেনজিৎ জুটির ৫০ নম্বর সিনেমা হতে চলেছে ‘অযোগ্য’।

এছাড়াও ছবিতে রয়েছেন শিলাজিৎ মজুমদার, লিলি চক্রবর্তী আরও অনেকে। ছবি পরিচালনা করছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, প্রযোজনা করছেন সুরিন্দর ফিল্মস। মাঝে ১৫ বছর কোনও সিনেমা করেননি দুজনে। ফেরেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ‘প্রাক্তন’ দিয়ে। এরপর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়েরই ‘দৃষ্টিকোণ’ সিনেমায় কাজ করেন । আর এবার পালা ‘অযোগ্য’-র।